Web
Analytics
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১ম পর্ব। - Uddoktagiri Blog
একজন উদ্যোক্তার করনীয় কি কি?
July 25, 2018
স্টার্টআপ ব্যর্থতা এড়াতে
স্টার্টআপে ব্যর্থতা এড়াতে যে ১৫ টি কাজ করতে হবে।
July 30, 2018

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১ম পর্ব।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা

Share this Post on

এক পরিবর্তনশীল বিশ্বের সমতা ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ‘রূপান্তরিত আমাদের পৃথিবী : ২০৩০ সালের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’ শিরোনামে গৃহীত প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর সংস্থার সদর দফতরে তিন দিনের বিশ্ব সম্মেলনে এই লক্ষ্যমাত্রাসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা এতে অংশ নিয়েছেন।

জাতিসংঘের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ১৫ বছরের এই বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত করা, লিঙ্গসমতা অর্জন, শিশুমৃত্যু কমানো, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, এইচআইভি/এইডস-ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং উন্নয়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ইত্যাদি ৮টি লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে গৃহীত সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ইতিবাচক সফলতা অর্জন করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুমৃত্যু কমানো ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ইত্যাদি কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কৃতিত্বের দাবিদার। এসডিজিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন এই ৩টি প্রধান বৈশিষ্ট্যকে সমন্বয় করা হয়েছে। এসডিজি হচ্ছে মানুষ ও পৃথিবীর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার একটি বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার পাশাপাশি সব নাগরিকের সম্ভাবনা, মর্যাদা ও সমতা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ জাতিসংঘ। সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন রোধে ত্বরিৎ উদ্যোগ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে সব ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করাই এসডিজির লক্ষ্য।

এসডিজির মাধ্যমে সব মানুষের সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সমন্বয় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সমাজে সব ধরনের ভয়ভীতি ও বৈষম্য দূর করা হবে। এতে বলা হয়, পৃথিবীর কোথাও অশান্তি নিয়ে কোনো টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না এবং টেকসই উন্নয়ন ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে সব নাগরিক, অংশীদার ও রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।

জাতিসংঘ সারাবিশ্বের উন্নয়ন টেকসই করতে ১৭টি লক্ষ্য (এসডিজি) নির্ধারণ করেছে। প্রতিটির ক্ষেত্রে রয়েছে আবার একাধিক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো (এসডিজি) হচ্ছে,

১.    সব দেশ থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য দূরীকরণ। (No Poverty)

২.    খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা। (Zero Hunger)

৩.    স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করা এবং সব বয়সী মানুষের জন্য সমৃদ্ধ জীবনের প্রণোদনা প্রদান। (Good Health and Well-Being for People)

৪.    সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা। (Quality Education)

৫.    লিঙ্গসমতা অর্জন এবং কন্যাশিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। (Gender Equality)

৬.    সবার জন্য পানি ও স্যানিটেশন সহজলভ্য করা এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। (Clean Water and Sanitation)

৭.    সবার জন্য সহজলভ্য, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক শক্তিপ্রাপ্তি (বিদ্যুৎ/জ্বালানি) নিশ্চিত করা। (Affordable and Clean Energy)

৮.    সবার জন্য মানসম্মত কাজ ও উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহ    প্রদান। (Decent Work and Economic Growth)

৯.    সহজ অবকাঠামোর মাধ্যমে বৃহৎ, টেকসই শিল্পায়ন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে উৎসাহ প্রদান। (Industry, Innovation, and Infrastructure)

১০.    বিভিন্ন দেশের মধ্যে এবং দেশের অভ্যন্তরে বৈষম্য কমিয়ে আনা। (Reducing Inequalities)

১১.    শহর ও মানুষের বসবাসকে একীভূত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত এবং টেকসই করা। (Sustainable Cities and Communities)

১২.    সম্পদের উৎপাদন এবং সেবন/ব্যবহারকে টেকসই করা। (Responsible Consumption and Production)

১৩.    জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ও এর প্রভাব রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ। (Climate Action)

১৪.    সাগর, মহাসাগর ও সমুদ্রসম্পদের টেকসই উন্নয়ন এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা। (Life Below Water)

১৫.    প্রকৃতি ব্যবস্থাপনার টেকসই ব্যবহারকে উৎসাহ ও সুরক্ষা প্রদান, বনসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও মরুময়তা প্রতিরোধ, বনজসম্পদের সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি বন্ধ করা। (Life on Land)

১৬.    টেকসই উন্নয়নে সমাজের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সবক্ষেত্রে কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। (Peace, Justice and Strong Institutions)

১৭.    এসডিজির বাস্তবায়নে এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করা। (Partnerships for the Goals)

জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার কর্ম উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ও নির্ধারক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করে। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, নাগরিক সমাজের সংগঠনও এসডিজিতে তাদের স্ব স্ব বিষয়াবলি গুরুত্ববহ করতে মতামত প্রদান ও প্রচারণা চালায়।

উত্তরণের এই সংখ্যায় লক্ষ্য ১ ও ২ তুলে ধরা হলো

লক্ষ্য-১ : সব দেশ থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য দূরীকরণ

বিশ্বে এখনও ৮৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরমভাবে দরিদ্র; যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্টেরও কম। অর্থাৎ, এসব মানুষ প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশের ১০০ টাকারও কম আয় দিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে এ ধরনের মানুষ আর থাকবে না। কারণ তাদের চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।

পৃথিবীকে রক্ষা ও সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ যে ১৭টি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অনুমোদন করেছে, তার প্রথমটিই হলো চরম দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

এসডিজি লক্ষ্য অনুমোদন করতে গিয়ে জাতিসংঘ দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সংস্থাটির মতে, ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটি একটি অসাধারণ অর্জন হলেও এখনও বিশ্বের উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলোতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন চরম দরিদ্র (যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্ট বা আরও কম)। এসব মানুষের অধিকাংশেরই বসবাস দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারান আফ্রিকায়। এর চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশি আয় নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে কোটি কোটি মানুষকে। এ ছাড়া আরও অনেক মানুষ আছে, যাদের অবস্থা একসময় খানিকটা ভালো হলেও তারা আবার দারিদ্র্যের বলয়ে ফিরে আসছে।

সংস্থাটি জানায়, পৃথিবীতে ক্ষুদ্র, ভঙ্গুর বা নাজুক ও সংঘাতকবলিত দেশগুলোতেই দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। দারিদ্র্যের কারণে বিশ্বে বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি ৭টি শিশুর মধ্যে একটির উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। এ ছাড়া সংঘাতের কারণে গত ২০১৪ সালে প্রতিদিন ৪২ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, দারিদ্র্যের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটে। ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। শিক্ষাসহ মৌলিক সেবাগুলো পাওয়ার পরিমাণ কম হয় এবং সামাজিক বৈষম্য বাড়ে। সে জন্য সংস্থাটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরামর্শ দিয়েছে; যাতে মানুষের কর্মসংস্থান টেকসই হয় এবং সমাজে সাম্যতা বৃদ্ধি পায়, এই লক্ষ্য অর্জনে ৭টি লক্ষ্যমাত্রা হলো

১.    পৃথিবীর সর্বত্র চরম দারিদ্র্যকে একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।

২.    নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে যারা যে ধরনের দারিদ্র্যের মধ্যেই থাকুক না কেন, তাদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।

৩.    দেশের উপযোগী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নেওয়া; যাতে দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।

৪.    সব দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকা-, মৌলিক সেবাসমূহ, জমির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক সম্পদ, নতুন প্রযুক্তি, ক্ষুদ্র ঋণসহ আর্থিক সেবায় সমান অধিকার নিশ্চিত করা।

৫.    দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষদের আর্থ-সামাজিক, জলবায়ু ও পরিবেশগত বিপর্যয় এবং দুর্যোগজনিত অভিঘাত থেকে রক্ষা করা।

৬.    বিভিন্ন উৎস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করা; যাতে এসডিজি অর্জনের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায়।

৭.    জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দরিদ্রমুখী ও নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল ও সুসমন্বিত নীতি-কাঠামো প্রণয়ন।

লক্ষ্য-২ : খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা

বর্তমান বিশ্বের প্রতি ৯ জনে একজন অপুষ্টির শিকার। এই হিসাবে অপুষ্টির শিকার মোট জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭৯ কোটি ৫০ লাখ। এই জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশের বসবাস এশিয়া মহাদেশে। সারাবিশ্বে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করে এমন ৬ কোটি ৬০ লাখ শিশু পেটে ক্ষুধা নিয়ে স্কুলে যায়।

আবার বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ লোকের কর্মসংস্থান কৃষি থেকে আসে। কৃষিকাজে নারীর গুরুত্ব তুলে ধরে জাতিসংঘ আরও বলছে, কৃষিতে নারীরা যদি পুরুষের সমানভাবে অংশ নেন, তা হলে বিশ্বে ক্ষুধার্ত লোকের সংখ্যা ১৫ কোটি পর্যন্ত কমতে পারে।

২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করে কৃষিতে টেকসই উন্নয়নের জন্য আগামী ১৫ বছরে মোট ৮টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো

১.    সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু থেকে শুরু করে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষের খাবারের ক্ষুধা দূর করা।

২.    অপুষ্টির শিকার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, গর্ভবতী ও বুকের দুধ দানকারী নারী এবং বয়স্ক ব্যক্তিসহ সব মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ।

৩.    কৃষি উৎপাদন ও কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা। নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, পশু পালনকারী, জেলেদের মতো জনগোষ্ঠীর জন্য ভূমি নিরাপত্তা, শিক্ষা, আর্থিক লেনদেনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার উৎস নিশ্চিত করা।

৪.    টেকসই কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কৃষি উৎপাদনে পরিবেশের ভারসাম্য নিশ্চিত করে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে ফসল টিকে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

৫.    ২০২০ সালের মধ্যে বীজ, শস্য, পালন করা পশুর জিনগত বৈচিত্র্য বাড়ানোয় কাজ করা।

৬.    আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো, কৃষিভিত্তিক গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করা।

৭.    বিশ্ব কৃষি বাজারে অনিয়ম ঠেকানো ও কৃষি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অহেতুক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা।

৮.    বিশ্ব খাদ্যপণ্যের বাজারে দাম স্থিতিশীল ও ক্রেতার হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ।

 

লেখক : সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ-এসডিএনবি

সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোলস নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেল দেওয়া হবে পরবর্তিতে। সাথে থাকুন।

You may also like

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়।

Share this Post on