ব্যক্তি উদ্যোগ বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে পোটেনশিয়াল ইনভেস্টররা মিলে একটা প্লাটফর্ম তৈরী করার বিষয়টি। বেঙ্গালুরুতে যেমন এটা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলা যায়। প্রতিযোগীতার মাধ্যমে স্টার্টআপকে তুলে আনা হয় এই সিস্টেমে। আইডিয়া আর পিচিং সেগমেন্ট শেষে সেরা আইডিয়া গুলো ফান্ডিং করা হয় ইনভেস্টর প্যানেল থেকে। দেশে এমন প্লাটফর্ম বলতে গেলে নেই। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে প্রমিজিং কিছু স্টার্টআপ জন্ম দিয়েছে। ফান্ডিং মেকানিজম যদি প্রাইভেট সেক্টরের হাত ধরে বিকশিত হলে উঠে আসবে আরো এরকম অসংখ্য স্টার্টআপ। তবে একেবারেই যে হচ্ছে না তা নয়! চট্টগ্রামে এরকম একটা উদ্যোগ শুরু করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের অধীনেই মোটামুটি এরকম একটা উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।পোটেনশিয়াল আইডিয়া জমা নিয়ে পিচিং এর সুযোগ করে দিচ্ছেন। সেরা আইডিয়া পাবে ফান্ডও। শাইখ সিরাজ ইনিশিয়েটিভ নামে একটা উদ্যোগও লাইমলাইটে এসে গিয়েছে।
ভারতে ইউনিকর্নের ( ১ বিলিয়ন ডলার সমমানের স্টার্টআপের ছড়াছড়ি)। আর আমাদের এখন পর্যন্ত একটা মাত্র ইউনিকর্ন আছে! অথচ ২০২৫ সালের কথা ভাবলে মার্কেট সাইজ অনুযায়ী আমাদের অন্তত ৫০ টা ইউনিকর্ন থাকার কথা। এবং সেটা তখনই সম্ভব যখন প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টর ফোরাম গঠিত হবে। রানিং স্টার্টআপ অ্যাকোয়ার করে কম্পিটিশন কমানো যায়, কিন্তু স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম আপনি তৈরী করতে পারবেন না। স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি তো এসে গেলো ; আমাদের কর্পোরেট হাউজগুলোর কী বসে থাকার সময় আছে আর! আলীবাবা, অ্যামাজন যেভাবে আমাদের মার্কেটে নজর দিয়েছে ; তাতে বুঝাই যাচ্ছে কী ঘটতে যাচ্ছে সামনে। আমাদের উদ্ভাবনী তরুনরা বসে নেই ; যাদের বসে না থাকার তাঁরা একটু গা ঝাড়া দিলেই হয়!