Web
Analytics
জেনে নিন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সাধারণ কিছু ভুল। - Uddoktagiri Blog
বিশ্বের শীর্ষ ২০ উদ্ভাবনী শহর
বিশ্বের শীর্ষ ২০ উদ্ভাবনী শহর।
February 26, 2019
ব্যবসাকে সঠিকভাবে গাণিতিক ছকে ফেলতে পারলে সহজেই বিশ্লেষণ করা যায় ব্যবসাকে সঠিকভাবে গাণিতিক ছকে ফেলতে পারলে সহজেই বিশ্লেষণ করা যায়
উদ্যোগে বিশ্লেষণের ক্ষমতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
March 18, 2019

জেনে নিন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সাধারণ কিছু ভুল।

ই-কমার্স সাইটের সাধারণ কিছু ভুল

Share this Post on

ই-কমার্স হল একটা প্রতিযোগীতা মূলক প্লাটফর্ম, যদিও বাংলাদেশে এখনও জোড়ালো প্রতিযোগীতা শুরু হয়নি তবে খুব শীঘ্রই প্রতিযোগীতা অনেক বেড়ে যাবে। এর মাঝেই আপনার সাইটকে প্রস্তুত রাখতে হবে, ভবিষ্যৎ-এর প্রতিযোগীতার জন্য। আজ আমি বিভিন্নি ই-কমার্স সাইট বিশ্লেষন করে কিছু ভুল ত্রুটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আর হ্যাঁ, আমি নিজেই একটা ভুলে ভর্তি মানুষ, তাই আমার আর্টিকেলের মধ্যে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

 

১. বর্ননা বিহীন প্রোডাক্টঃ

এই ভুলটা বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইটে বেশী দেখা যায়। এটা সহজ আর তাই ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এই ভুলটা বেশী করেন। যেমন একটা ঘড়ি ই-কমার্স সাইট-এ অ্যাড করার সময় অনেকেই শুধু ঘড়ির নাম, মডেল আর মূল্য দিয়ে রাখেন। যা ই-কমার্স সাইটের জন্য গুরুতর ভুল। বাংলাদেশে সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার চালানো হয় বলে এসব ই-কমার্স ওয়েবসাইট কাষ্টমার পেয়ে থাকে। আসলে বাংলাদেশের বেশীর ভাগ ইন্টারনেট ইউজার ইন্টারনেট বলতে শুধু ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপ জাতীয় সোসাল মিডিয়াগুলো ছাড়া আর কিছু বুঝে না। কিন্তু দিন পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ নিজেদের আপডেট করছে। মানুষ এখন সার্চ ইন্জিনে সার্চ দিয়ে মূল্য কমপেয়ার করছে। এক্ষেত্রে যখন কেউ প্রোডাক্ট নেম এবং প্রাইস দিয়ে সার্চ দিবে, তখন এধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইটের কাষ্টমার অন্য ওয়েব সাইট এ চলে যেতে পারে।

 

 

২. ফ্রেশ কন্টেন্টঃ 

কেউ কেউ আবার হুবহু কোম্পানীর দেয়া বর্ননা প্রদান করে থাকে। এটা একটা বড় ভুল। এমনকি আমি যে কোম্পানীতে চাকুরী করতাম সেখানেও এই ভুলটা ছিল। সেখানে 3M, Dynaex এবং Covidien এর মতো আমেরিকার বড় বড় কোম্পানীর প্রোডাক্টগুলির বিবরণ হুবহু তুলে ধরা হত। ফলাফল স্বরুপ সার্চ-ইঞ্জিন গুলো থেকে ভাল ট্রাফিক আসতো না।

এর কারণ একটাই এই কন্টেন্ট গুলোকে স্পাম হিসেবে ধরা হয়। Google-এর মতে “Content is king”। আপনার কন্টেন্ট অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। আমার মতে সময় বেশী লাগলেওে একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার দিয়ে বনর্না লিখে নিন। একটা জরিপ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি Hubspot এর জরিপে বিশ্বের ১০ টি বড় বিজনেস ওয়েব সাইটের ৫০% ট্রাফিক আসে  সার্চ-ইঞ্জিন গুলো থেকে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দেখেছি কন্টেন্ট ফ্রেশ হলে এর চেয়ে অনেক বেশী ট্রাফিক পাওয়া যায় সার্চ-ইঞ্জিন গুলো থেকে।

আমি Matt Cutts কে সব সময় ফলো করি, তিনি Google-এর ওয়েব স্পাম টিমের হেড। তিনি সবসময় একটা কথাই বলেন ইউনিক কিছু লিখতে সেটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিংবা সাধারণ ব্লগ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

৩. ইমেজ বা প্রোডাক্টের ছবিঃ

ইমেজ অ্যাড করার সময় আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ইমেজের লুকিংটা যেন ভাল আসে এবং সাইজটা যেন বড় না হয়। এখন প্রশ্ন হল লুকিং ভাল রেখে ইমেজ সাইজ ছোট করবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে আপনাকে ইমেজ কমপ্রেস করে নিতে হবে। আরেকটা প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে, কেন ইমেজ সাইজ ছোট করবেন? এর কারন ইমেজ সাইজ ছোট করলে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট লোড হতে বেশী সময় নিবে যা এসইও-এর জন্য একটা বড় প্রবলেম। আর হ্যাঁ, ইমেজ একটা নয়, কয়েকটা দিবেন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে। এতে কাষ্টমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে পারবে।

এছাড়াও ইমেজ নেম, ক্যাপশন ইত্যাদি ভাল ভাবে দিতে হবে। এগুলো আপনাকে বেটার সার্চ রেজাল্ট নিশ্চিত করবে।

 

৪. লিংকঃ

লিংক একটা বড় প্রভাব রাখে সার্চ ইন্জিনের জন্যে। আপনার প্রোডাক্ট কিওয়ার্ড/নেম যেন অবশ্যই লিংকে থাকে এই ব্যাপারটা খেয়ার রাখবেন। এটা সার্চ-ইঞ্জিন ভাল রেজাল্ট দিবে আপনাকে।

 

৫. সাইন আপ প্রসেসঃ 

অনেকেই প্রোডাক্ট চুজ করার পরই সাইন আপ প্রসেসের লং ডিটেলস দিয়ে থাকে যা উচিৎ নয়। এতে কাষ্টমার বিরক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে এই অপশনটি শেষে রাখা উচিৎ। যাইহোক এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব বেশী ইমপর্টেন্ট নয়।

 

৬. মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইটঃ

আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে অবশ্যই মোবাইল উপযোগী করে তুলতে হবে এতে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রচুর কাষ্টমার পাবে এবং গুগল র‌্যাঙ্ককিং-এ এগিয়ে যাবে।

 

৭. প্রোডাক্ট রিভিউঃ 

অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট-এ প্রোডাক্ট রিভিউ এর অপশন নাই। কেউ কেউ ভয়ে রাখে না কারণ কোন কাষ্টমার যদি ব্যাড রিভিউ দেয়, এই ভয়ে। এক্ষেত্রে আমার মত, ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরে নিন। বাংলাদেশে কিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্যে অন্যদের সুনাম নষ্ঠ হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হতে গোনা দু-একটা ছাড়া কোন ভাল ব্রান্ড তৈরী হয় না একমাত্র বর্তমানকে নিয়ে চিন্তা করার জন্য। মনে রাখবেন সুনাম একটা সম্পদ, এটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।

যাইহোক এখনে এই বিষয়টা আলোচনা করি, রিভিউয়ের উপকারীতা কি? যখন গুগল দেখবে বিভিন্ন এলাকা থেকে আপনার প্রোডাক্টের উপর রিভিউ লিখছে সাধারণ মানুষ, তখন আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টিকে অটোমেটিক হাইলাইট করবে গুগল। গুগলের প্রথম পেজে থাকতে কে না চায় বলুন?

 

এতক্ষন যেসব সাধারন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ভুলের কথা তুলে ধরেছি, এগুলো খুবি কমন মিসটেক। এছাড়াও আরও অনেক ভুল আছে। আগামীতে ইনশাআল্লাহ তুলে ধরবো। উপরের ভুল গুলো সংশোধন করলে আগামীতে এর ফল পাবেন। খুব শীঘ্রই প্রচুর ই-কমার্স ওয়েবসাইট মার্কেটে আসবে। নিজের মধ্যে প্রিপারেশন রাখুন, যুগপোযোগী প্রতিযোগীতায় নিজের অবস্থান দৃড় করবার জন্য।

লেখক- Md Shamim Al Mamun 

Share this Post on