Web
Analytics
উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট কি গুরুত্বপূর্ণ? - Uddoktagiri Blog
উদ্যোক্তার পরিচয় নাকি পরিচয়ে উদ্যোক্তা_
উদ্যোক্তার পরিচয় নাকি পরিচয়ে উদ্যোক্তা?
April 29, 2019
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি।
May 8, 2019

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট কি গুরুত্বপূর্ণ?

Share this Post on

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট প্রয়োজন আছে কি নাই এইটা একটা কমন প্রশ্ন?

উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অনেকটা আপেক্ষিক ব্যাপার! আসলে উদ্যোক্তা হতে গেলে গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিক পড়া প্রায় গুরুত্বহীন বলা যায় কারণ সচরাচর আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়ানো হয় তা চাকরির জন্য আমাদের প্রস্তুত করে, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নয়! আমি নিজে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে বলতে পারি প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা আমার অন্তত তেমন কোন কাজে আসেনি! তবে উদ্যোক্তা হতে গেলে সেল্ফ লার্নিং করা বাধ্যতামূলক মানে নিজে নিজে অনেক বিষয়ে স্টাডি ও রিসার্চ করতে হবে! আমি জোর গলায় বলতে পারি প্রতিদিন আমি কোন না কোন বিষয় নিয়ে স্টাডি, রিসার্চ কিংবা আলোচনা করি! কারণ এখন শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের যুগ সেটা হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত! আগের যুগে যারা উদ্যোক্তা ছিল তারা সাধারণত খুব বেশি পড়ালেখা করেনি বা সুযোগের অভাবে পারেনি, কিন্তু এখন পড়ালেখা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তাই শিক্ষিত হলে কোন দোষ নেই বরং লাভই আছে!

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সবার প্রথম মেন্টালিটির পরিবর্তন করতে হয়, আর এইজন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে হয়। তার মানে আমি বুঝাতে চাচ্ছি পড়তে, জানতে, শিখতে হবেই সেটা প্রাতিষ্ঠানিক হোক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক হোক কারণ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একজন চাকরিজীবির চেয়ে বেশি দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন! একটি প্রতিষ্ঠান চালানোর সম্পূর্ণ কলাকৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কেবল সফলভাবে প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চালানো সম্ভব যেটা আপনার জন্য সফলতা বয়ে নিয়ে আসবে!

উদ্যোক্তা হওয়ার ১ নম্বর যোগ্যতা হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি বা ডিজায়ার, সার্টিফিকেট নয়! এই ডিজায়ার এমন এক অদ্ভুত শক্তি যার জোরে একজন উদ্যোক্তা সকল বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলে! আর এই ডিজায়ার তখনি আসে যখন কোন আইডিয়া বা ড্রিম মাথায় ঘুরতে থাকে! তাই অন্যদের কথায় কান না দিয়ে নিজের ভালো লাগা ডিজায়ারটাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাল-মন্দ বুঝে শুনে স্টেপ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ! তবে হ্যা, পরিবার সবসময় সন্তানের ভালোই চায় সেজন্যই গতানুগতিক জিনিস চায় আই মিন চাকরি করতে বলে, কারণ তারা চায়না তুমি রিস্ক নিয়ে উদ্যোক্তা হও আর কঠিন পথের সম্মুখীন হও! এটা হতে পারে তাদের ভালোবাসা কিংবা অতিরিক্ত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, ইফ ইউ নো হোয়াট আই মিন!

একান্তই ব্যতিক্রম কিছু উদাহরণ ছাড়া সাধারণত বাংলাদেশের পারস্পেক্টিভে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করতেই হয় যেমন আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়েছি কিন্তু পাশাপাশি আমার ভালো লাগার কাজও করেছি! মনে রাখবা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নটা তোমার, তোমার পরিবার কিংবা সমাজের নয়! সমাজের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ সমাজের মানুষজনের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির! কখনো ভেবে দেখেছেন সমাজ কিভাবে সৃষ্টি হয়? আসলে সমাজ তো মানুষের দারাই চলে! এখনো আমাদের সমাজের মানুষজন উদ্যোক্তা শুনলে ভ্রু কুচকিয়ে তাকায়, কারণ বেশিরভাগ মানুষের ধ্যান-ধারণা এখনো সেকেলে যেটা এটার পেছনে একটা বিরাট বড় কারণ! এক্ষেত্রে মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো অত্যাবশকীয় প্রয়োজন!

ThinkDifferently

 

Share this Post on