যিনি নিজের মেধা খাটিয়ে পণ্য উৎপাদনের জন্য কোন ব্যবসায়ীক উদ্যোগ গ্রহন করেন তাকে বলে উদ্যোক্তা। আর তার নতুন উদ্যোগকে বলে ষ্টার্টআপ। নতুন উদ্যোগের বিষয়ে একজন উদ্যোক্তাকে যে সব বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হয় তাহল ব্যবসায়িক কলাকৌশল, পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন। ব্যবসা শুরু করার পূর্বে এসব জানা প্রয়োজন। যে কোন ব্যবসায়ের শুরুতে প্রথম যে কাজটি চ্যালেঞ্জিং সেটি হল বিজনেস প্লান।
বিজনেস প্লান মূলত এমন একটি বিষয় যেটি আপনি কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন, কোন পথে এগোবেন, আপনার রিসোর্স কি কি আছে, সমস্যা ও সুবিধাগুলো কি কি এবং বিজনেস সংক্রান্ত আরো অন্যান্য কী পয়েন্টগুলো ফোকাস করে। ব্যবসাকে তার মতো করে এগিয়ে নিতে প্লানিংয়ের কোন বিকল্প নেই।
ব্যবসা নির্ধারণ এবং প্রাথমিক কর্মকাণ্ডসমূহ:
সফল ব্যবসার জন্য এখন বলিষ্ঠ উদ্যোক্তার প্রয়োজন। এই উদ্যোক্তা প্রথমেই নির্ধারণ করবেন পণ্য বা সেবাটি কি এবং ব্যবসাটি কোথায় অবস্থিত হবে। এসব নির্ধারণের উপর ভিত্তি করে, একটি ব্যবসার সম্ভাব্যতা যাচাই এর জন্য স্টাডি পরিচালনা করতে হবে এবং প্রস্তাবিত ব্যবসার একটি সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল প্রস্তুত করতে হবে। অতঃপর উদ্যোক্তাকে একটি ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। প্রোজেক্টের ধরণ, স্থান, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, একজন উদ্যোক্তাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অগ্রসর হতে হবে।
ব্যবসা নির্ধারণ এবং প্রাথমিক কর্মকাণ্ডসমূহ যেসকল বিষয়ের সাথে জড়িতঃ
একটি সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে একজন ব্যবসায়ীকে তার লক্ষ্যের দিকে পৌছাতে সাহায্য করে। সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সামনে না অগ্রসর হলে বিনিয়োগের ক্ষতি হতে পারে।
স্টার্টআপ বিজনেস প্লান
একটি সাধারণ স্টার্টআপ বিজনেস প্লানে মিশন স্টেটমেন্ট, কী টু সাকসেস,মার্কেট এনালাইসিস, ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্ট এই বিষয়গুলোর একটা সংক্ষিপ্ত দিক নির্দেশনা থাকে।
বিজনেস প্লানের জন্য কি ধরনের ইনফরমেশন প্রয়োজন হয়?
ইনফরমেশনগুলো কিভাবে সাজাতে হয় বা লিপিবদ্ধ করতে হয় যাতে একজন ইনভেস্টর আগ্রহী হয়? এই প্রশ্নের আউট লাইনটাই একটা ভালো বিজনেস প্লান আপনাকে প্রোভাইট করতে পারে।
বিজনেস প্লানের স্ট্যান্ডার্ড এলিমেন্টসগুলো কি কি ?
আপনি যখন স্ট্যান্ডার্ড একটি বিজনেস প্লান তৈরি করার প্রতি দৃষ্টি দেবেন, দেখবেন আর একটি প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়ে যায়, বিজনেসের জন্য কি কি এলিমেন্টস আপনার লাগবে?
যেমন স্টার্টআপ অবস্থায় যে বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার উপর একটা চার্ট করে আপনি একটি চমৎকার আউট-লাইন দাঁড় করাতে পারেন।
১. আপনার এক্সিকিউটিভ সামারি কি হবে?
২. আপনার কোম্পানি ডেসক্রিপশন কেমন হবে?
৩. আপনার প্রোডাক্ট সার্ভিস কি হবে?
৪. আপনার মার্কেট এনালাইসিস কেমন হবে?
৫. পরিসংখ্যান ও ইমপ্লিমেন্টেসন কিভাবে হবে?
৬. কার্যকর ম্যানেজমেন্ট টিম কিভাবে হবে?
৭. আপনার ফিন্যান্সিয়াল প্লান কি হবে?
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয় যেমন-
বাংলাদেশে একজন উদ্যোক্তা হতে হলে যে কাজগুলো করতে হবেঃ
মূলধন ও সম্পদ ব্যবসার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলেও মূখ্য বিষয় নয়, কেননা সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অগ্রসর না হলে তাতে বিনিয়োগের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্যবসা শুরুর পূর্বে অবশ্যই বিজনেস স্টার্টআপ তৈরী করতে হবে।