Web
Analytics
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২য় পর্ব। - Uddoktagiri Blog
কর্মক্ষেত্রে সফলতা
কিভাবে নিজেকে আরও বেশি কর্মক্ষম করে তুলবেন ?
August 6, 2018
স্টার্টআপ বিজনেস প্লান
স্টার্টআপ বিজনেস প্লান কিভাবে করতে হয়?
August 8, 2018

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২য় পর্ব।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা

Share this Post on

ডিজিটাল বাংলাদেশে এসডিজি অর্জনে তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ তিউনিস শীর্ষ সম্মেলনে তথ্য সমাজ বিনির্মাণে তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকাকে একীভূত করে একে টুলস বা অঙ্গীভূত কৌশল হিসেবে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যবহার করার পরামর্শে সকল সদস্য-রাষ্ট্র সম্মত হয়। সেই থেকে সব দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তথ্য-প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে সঙ্গত কারণেই এর বিশেষত্ব তাৎপর্যময়। এসডিজি-র ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের তৃতীয়টি হলো ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (সকল বয়সী সকল মানুষের জন্যে সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ)’। এই তৃতীয় অভীষ্ট অর্জনের সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৩টি, যার অন্যতম হলো ৩.৪ যাতে উল্লেখ আছে- প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে অকাল মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা এবং মানসিক সুস্থতা ও কল্যাণ নিশ্চিতে সহায়তা প্রদান করা। এই অভীষ্ট অর্জনের সূচকে (৩.৪.১) উল্লেখিত আছে, হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে মৃত্যুহার (কমিয়ে আনা)।

লক্ষ্য-৩ঃ সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (সকল বয়সী সকল মানুষের জন্যে সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ)

১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর অনুপাত প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মে ৭০ এর নিচে নামিয়ে আনা।

২. ২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতক ও অনূর্ধ্ব ৫-বছর বয়সী শিশুদের প্ৰতিরোধযােগ্য মৃত্যুর অবসান ঘটানোর পাশাপাশি সকল দেশের লক্ষ্য হবে প্রতি ১০০০ জীবিতজন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার কমপক্ষে ১২-তে এবং প্রতি ১০০০ জীবিতজন্মে অনূর্ধ্ব ৫-বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার কমপক্ষে ২৫ -এ নামিয়ে আনা।

৩. ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস, যম্মা, ম্যালেরিয়া ও উপেক্ষিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের মহামারীর সমাপ্তি এবং হেপাটইিটিস, পানিবাহিত রোগ ও অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধির মোকাবেলা করা।

৪. প্রতিরোধ ও চিকিংসার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে অকাল মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহায়তা প্রদান।

৫. চেতনানাশক ওষুধ ও অ্যালকোহলসহ সকল প্রকার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করা।

৬. বিশ্বব্যাপি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ২০২০ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনা।

৭. ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা, তথ্য ও শিক্ষাসহ যৌন ও প্রজনন সংক্রাত্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবায় সর্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যকে জাতীয় কৌশল ও কর্মসূচির অঙ্গীভূত করা।

৮. সকলের জন্য অসুস্থতাজনিত আর্থিক ঝুঁকিতে নিরাপত্তা, মানসম্মত অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ, কার্যকর, মানসম্মত আবশ্যক ওষুধ ও টিকাসুবিধা প্রাপ্তির পথ সুগম করাসহ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্য অর্জন।

৯. ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং বায়ু, পানি ও ভূমি দূষণ ও সংক্রমণজনিত ব্যাধি ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা।

১০. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সকল দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের বাস্তবায়ন জোরদার করা।

১১. উন্নয়নশীল দেশসমূহে সাধারণত যে ধরনের সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগব্যাধির প্রকােপ বেশি, যে ধরনের রোগের টিকা ও ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন সহায়তা দান এবং ট্রিপস সমঝোতা (TRIPS Agreement) ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে দোহা ঘোষণা অনুযায়ী আবশ্যকীয় সকল ওষুধপত্র ও টিকা সাশ্রয়ীমূল্যে সকলের জন্য সহজলভ্য করা; উল্লেখ্য, এই ঘোষণার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাপ্ৰণোদিত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সকলের জন্য ওষুধ প্রাপ্তি সহজলভ্য করাসহ অন্যান্য সুবিধাদির পরিপূর্ণ ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশসমূহের অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

১২. উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরষ্ট্রসমূহে স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা, এই খাতে নিয়োজিত জনবলের স্থায়ীত্ব এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।

১৩. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি প্ৰশমন এবং এ সংশ্লিষ্ট পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা বিষয়ে সকল দেশের, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোলস নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আর্টিকেল দেওয়া হবে পরবর্তিতে। সাথে থাকুন।

You may also like

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১ম পর্ব।

Share this Post on