Web
Analytics
স্টার্টআপে ব্যর্থতা এড়াতে যে ১৫ টি কাজ করতে হবে। - Uddoktagiri Blog
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১ম পর্ব।
July 28, 2018
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়।
July 31, 2018

স্টার্টআপে ব্যর্থতা এড়াতে যে ১৫ টি কাজ করতে হবে।

স্টার্টআপ ব্যর্থতা এড়াতে

Share this Post on

১৫ টি কাজ যা ব্যর্থতা এড়াতে সাহায্য করবেঃ

শুরু আমরা করতে চাই বা করি কিন্তু আমাদের মনের ভিতর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। আমরা কি পারবো ??

অনেক ক্ষেত্রে আমরা এই দোটানায় বা পারিপার্শ্বিকতায় ব্যর্থতার মুখ দেখি। শুরুতে আমাদের প্লানগুলো ধাপে ধাপে সাজাতে হবে যেটা আমরা বলি (According to serial).

আমি কতদুর যেতে চাই বা আমার ভবিষ্যৎ যে গোল সেটা সেট করা।

 

১.টিম বাছাই – দক্ষ মানুষ  বাছাই করা। যারা তাদের নিজ নিজ কাজে দক্ষ। অবশ্যই পরিশ্রমী, প্রতিটা কাজে তাল মিলিয়ে নিতে পারবে সহজে। কথায় আছে ‘যদি হয় স্বজন তেতুল পাতায় নজন’। সেজন্য টিম বাছাইটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

২.টাকার সঙ্কট – পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে। যখনি আপনি শুরু করবেন আপনার মূলধন পর্যাপ্ত কিনা তা আপনাকে হিসাব করতে হবে। ব্যাকআপ মানি নিয়েই আপনাকে কাজে নামতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে টাকার লিমিটেশন এর কারনে বন্ধ হয়ে যায় সুন্দর একটি উদ্যোগ।

৩.খারাপ পণ্য/ কন্টেন্ট – পণ্য এর মান অবশ্যই ঠিক থাকতে হবে। পণ্য ভাল হলে ক্রেতা আপনা আপনিই ভিড় করবে। এখন কার দিনে মানুষ যেমন সচেতন তেমনি ভাল জিনিস চিনতে ভুল করে না, তাই আপনার পণ্য বা কন্টেন্ট যাই হোক তা গুনগত মান সম্পূর্ণ হতে হবে।

৪.বিজনেস মডেলের ঘাটতি-  বিজনেস মডেলটা আপনাকে এমন ভাবে সেট করতে হবে যেন সেটা সময় উপযোগী হয়। সময়কে যদি আপনি আপনার বেস্ট জিনিসটা দিতে পারেন, আপনার ফিডব্যক আপনি ততটাই বেস্ট পাবেন।

৫.দুর্বল কমিউনিকেশন – মানুষের সাথে আপনার কমিউনিকেশন অবশ্যই জোরালো হতে হবে। আপনি যে কাজটা করবেন সেই সম্পর্কিত সকল মানুষ এর সাথে ভাল যোগাযোগ থাকতে হবে। আপনার যুদ্ধের ঢালই বলতে পারেন। সুযোগ-সুবিধা আপনাকেই তৈরি করে নিতে হবে।

৬.মার্কেটিং এর ঘাটতি-  অনেক ক্ষেত্রে মার্কেটিং আমাদের সঠিক জায়গায় এবং সঠিক লোকের কাছে হয় না। সঠিক জিনিস সঠিক জায়গায় না হলে ভূপতিত নিশ্চিত।

৭.ক্রেতার সাথে ব্যাবহার- মিষ্টভাষী স্বভাব আমাদের থাকতে হবে। ‘ক্রেতা লক্ষ্মী আর বিক্রেতা পেঁচা’ এটা মাঝে মাঝেই শুনা যায় মুরুব্বিদের মুখে। যদিও পেঁচা না হলেও আমাদের বিনম্র হতে হবে।

৮.ক্ষীন চিন্তাশক্তি-  উদ্যোগতাদের চিন্তা শক্তি বা ভিশন সুদূরপ্রসারী হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৯.টিম এর সাথে খারাপ ব্যবহার- নিজের টিম মানে নিজের পরিবার এমন ভাবনা থাকাতে হবে। যেমন রুল এর বেলায় কঠোর আবার তাদের সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটানো। টিমকে মোটিভেশন দেওয়া। কখনই একা কিছু করা সম্ভব না। ‘দশ এর লাঠি এক এর বোঝা’। সেইজন্য টিমকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিন।

১০.জায়গা ভুল নির্বাচন-  এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখান থেকে খুব সহজে সব কিছু সহজে পাওয়া যায়। উপযুক্ত জায়গা না হলে কাজের বিঘ্ন ঘটে।

১১.ইনভেস্টর না পাওয়া- অনেক অনেক  সুযোগ অনেক অনেক উদ্ভাবন অনেক উদ্যোগ নষ্ট হয়ে যায়  শুধুমাত্র ইনভেস্টর না পাওয়ার কারনে। অনেকে ইনভেস্ট করতে চায় না! নিজের আইডিয়া নিজের উদ্যোগ সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে ইনভেস্টর পাওয়া সম্ভব কারন মানুষ এর ভিসন এখন অনেক পরিষ্কার।

 ১২.খরচের হিসাব- স্টার্ট আপ এর প্রথম দিন থেকে শুরু করে প্রতিটা খরচ হিসাব করা অতীব জরুরি। খরচ হিসাব না থাকলে কিভাবে আয় এর হিসাব হবে! How is this possible!

১৩.মোটিভেশন হারানো-  Self motivation is the best motivation. প্রতিদিন প্রতিক্ষণ নিজেকে উদ্যোমী করে গড়ে তুলুন।নিজেকে বলুন হ্যাঁ অবশ্যই অবশ্যই পারবো। প্রতিটি কাজকে পজিটিভ ভাবে নিতে শিখুন। হাল ছেড়ে দিবেন না।

১৪.সময় উপযোগী সিধান্ত- ‘সময়’ এমন একটা জিনিষ যেটা চলমান। সময় যদি ঘোড়া হয় তাহলে তাতে লাগাম পরাতে উপযুক্ত লাগাম লাগবে না হলে তা ছুটে যাবে। তাই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত সব কিছুর মূল।

১৫.নিজের সাথে বোঝাপড়া- নিজের জন্য কিছু সময় বের করতে হবে যখন আপনিই হবেন আপনার বিচারক। নিজেকে প্রশ্ন করুন। উত্তরগুলো খুজে বের করুন। আশাকরি ভালফল পাবেন।

উপরের লেখাগুলা একটু মেনে দেখে শুনে আগানো হলে ব্যর্থতা আশাকরি এড়ানো সম্ভব।যদি ব্যর্থ হন পিছপা হবেন না প্রতিটি সফলতার পিছনে কিছু না কিছু ব্যর্থতার কাহিনী থাকে।তাই আজই শুরু হোক আপনার উদ্যোগ এবং সফলতার কাহিনী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Share this Post on